ফ্যাসিবাদের বিরুদ্ধে “টেক ব্যাক বাংলাদেশ”

প্রকৌশলী মোঃ কামরুল হাসান উজ্জল

গণমুখি চেতনা দিয়েই দেশপ্রেমের ভাব বিকশিত হয়ে। সৃষ্টিকর্তার প্রতি বিশ্বাস রেখেই আমরা সৃনিদৃষ্ট ভৌগোলিক সীমানার মধ্যে স্বতন্ত্র স্বাধীনতায় গড়ে তুলি দেশ ও মানুষের সম্মানবোধের গণতান্ত্রিক চর্চার মূল্যবোধ ও দেশপ্রেম। কিন্তু আজ গণতান্ত্রিক চর্চার পরিবেশ এবং প্রতিবেশ দুটোই ধ্বংস করে দিয়েছে বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকার।

মহান সৃষ্টিকর্তা পৃথিবীতে সবকিছুই জোড়ায় জোড়ায় তৈরি করেছেন। প্রতিটি জিনিসই জোড়া জোড়া, হউক না জীব বা জড়, পদার্থ বা অপদার্থ। হউক না জীব বা জড়র জন্য ব্যবহিৃত বিশ্লেষণ। ভাল-মন্দ, সত্য-মিথ্যা, উত্থান-পতন, শুন্য-শীর্ষ, আস্তিক-নাস্তিক, নায়ক-ভিলেন, সুশাসন-কুশাসন, আবার স্বৈরতন্ত্র-গণতন্ত্র, স্বৈরশাসক, গণতান্ত্রিক শাসক ইত্যাদি। ঠিক এরূপ একটি জোড়া ন্যায় আর অন্যায়। পৃথিবী যেমন ঘুরছে একটি চক্রে একটি নির্দিষ্ট কক্ষপথে। ঠিক তেমনি পৃথিবীর প্রতিটি বিষয়েরই একটি চক্র রয়েছে রয়েছে একটি কক্ষপথ। এরকমই একটি  চক্র হল ন্যায় অন্যায়ের চক্র বা কক্ষপথ। সৃষ্টিকর্তার ন্যায় অন্যায়ের চক্রটি একটি অসাধারণ -অন্যোন্য চক্র। অন্যায়ের বিপরীতে ন্যায়কে প্রতিষ্ঠা করতেই হবে, এটি সভ্যতা বিকাশের অন্যতম নিয়ামক। কখনো ন্যায় শক্তিশালী হয় আবার কখনো অন্যায় পরাক্রমশালি হয়ে ওঠে। কখনো ন্যায় অন্যায়ের উপর প্রভাব বিস্তার করে; আবার কখনো অন্যায় ন্যায় এর উপর জুলুম করে। আর যখন কোন মানুষ বিচারের ঊর্ধ্বে উঠে যায় তখন সৃষ্টিকর্তা তার বিচারের দায়িত্ব নিয়ে নেন। সৃষ্টির শুরু থেকে পৃথিবীর ইতিহাস তাই বলে। আসুন পৃথিবীতে ন্যায় প্রতিষ্ঠার ইতিহাস একটু দেখে আসি। তাহলে ন্যায় অন্যায়ের চক্রের কোন ধাপ সামনে সমাগত আমরা বুঝতে পারবো।

সৃষ্টির শুরুতে আদম (আঃ) এর প্রতিপক্ষ ছিল সরাসরি শয়তান। মিস্টার বাকশালী শয়তান আদম (আঃ) কে এক বার ভুল করাতে পেরেছিল আর পারেনি। মিস্টার বাকশালী শয়তান এর পর তার বন্ধু হিসাবে মানব সন্তানকে বেছে নেওয়া শুরু করে। যারা শয়তানের প্রতিনিধিত্ব করেছিল বা এখনো করে যাচ্ছে। এরকম একজন শয়তানের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন বাকশালী নমরুদ। যে ছিল মিথ্যাবাদী জুলুমকারী অত্যাচারী স্বৈরশাসক। পাশাপাশি আমরা  জানি নমরুদের বিপরীতে মহান সৃষ্টিকর্তা দাঁড় করিয়েছিলেন সত্যের প্রতীক ইব্রাহিম (আঃ) কে। ইব্রাহিম (আঃ) বার বার নমরুদকে ন্যায়ের পথে ডেকেছিল এবং বলেছিল ন্যায়ের পথে না আসলে কঠিন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে। বাকশালী নমরুদ বলেছিল, “আমি সবকিছুর থেকে শক্তিশালী, আমার বাহিনীর সাথে কেউ পারবে না”। এ ধরণের কথাগুলো পরিচিত মনে হচ্ছে না? হ্যাঁ আমরা এ ধরণের কথা শুনছি গত ১৫ বছর ধরে। আমরা শুনেছি তারা নাকি করোনার থেকেও শক্তিশালী। নমরুদ তার বাহিনীর সাথে যুদ্ধের চালেঞ্জ করল। ইব্রাহিম (আঃ) রাজী হলেন যুদ্ধের জন্য। নমরুদকে বলা হল তার বাহিনীকে মশার সাথে যুদ্ধ করতে হবে। নমরুদ তার বাহিনী প্রধানকে যখন মশার সাথে যুদ্ধের কথা বলল। সে তো মশার বিষয়টিকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে সে হেসেই বাঁচেনা। । এ রকম হাসি আর তুচ্ছ তাচ্ছিল্য হাসান মাহমুদের মাঝে খুঁজে পাওয়া যায় প্রায়ই। তার পরিনতির কথা ভেবে আমরাও হাসি। নমরুদ বাহিনী যুদ্ধ ময়দানে আপেক্ষা করছে কিন্তু মাঠে ইব্রাহিম (আঃ) নাই। জানিনা নমরুদ বলেছিল কিনা “খেলা হবে”।  নমরুদ বাহিনী সাথে কাউয়া কাদের ঐ সময় থাকলে হয়তো বলতো, “খেলা হবে, ইব্রাহিম (আঃ) নাই কেন”। বলুক বা না বলুক খেলা হয়েছিল, যা শুধুই ইতিহাস। যুদ্ধের ময়দানে নমরুদ বাহিনী্র কংকাল ছাড়া আর কিছু পাওয়া যায়নি। মশার নিকট নমরুদ বাহিনী দলবলসহ ধ্বংস আর নমরুদ সামান্য মশার কাছে পরাজিত, তাও আবার নাংড়া মশা। ফলাফল মিথ্যাবাদী জুলুমকারী অন্যায়কারী স্বৈরশাসকের শাসনের অবসান এবং ন্যায় প্রতিষ্ঠিত।

আজ থেকে চার হাজার বছর আগে বাকশালী ফেরাউনের কথা কারোরই অজানা নয়, যে  শুধু একজন মিথ্যাবাদী জুলুমকারী স্বৈরশাসকই ছিল না নিজেকে সৃষ্টিকর্তা দাবি করেছিল। ফেরাউনের পাশাপাশি সত্যের প্রতীক হিসাবে -ন্যায়ের প্রতীক হিসেবে দাঁড় করিয়েছিলেন মুসা (আঃ) কে। মুসা (আঃ) বাকশালী ফেরাউনকে জুলুম করা বন্ধ করে  ন্যায়ের পথে ডাকলেন। মহা ক্ষমতার অধিকারী বাকশালী ফেরাউন কোন কথাই শুনলো না। মানুষের বিচারের ঊর্ধ্বে উঠা ফেরাউনকে সৃষ্টিকর্তা সতর্ক করলেন একবার দুবার না সাত বার। প্রতিবারই প্রতিজ্ঞা করে ন্যায়ের পথে ফেরার এবং প্রতিবারই বিপদ কেটে গেলে প্রতিজ্ঞা ভঙ্গ করেছিলো। প্রতিজ্ঞা ভঙ্গের বিষয়টি স্বঘোষিত জাতীয় বেইমান বাকশালী হাসিনার সাথে মিলে যাচ্ছে না?। হ্যাঁ মিলে যাচ্ছে। ফেরাউন মানুষের বিচারের ঊর্ধ্বে উঠেছিল আর এজন্যই সৃষ্টিকর্তা তার বিচারের দায়িত্ব নিয়েছিলেন। নিরস্ত্র মুসা (আঃ) ও তাঁর সঙ্গীদের স্বদল বলে তাড়া করেছিলো বাকশালী ফেরাউন।

কোন প্রকার যুদ্ধ ছাড়াই পরাজিত  হয়েছিল ফেরাউন, দলবলসহ ধ্বংস, পানিতে ডুবে মারা গিয়েছিলো ফেরাউন ও তার বাহিনী। ফলাফল মিথ্যাবাদী জুলুমকারী অন্যায়কারী স্বৈরশাসকের শাসনের অবসান এবং ন্যায় প্রতিষ্ঠা হওয়া। 

আর বাংলাদেশের মিথ্যাবাদী-জুলুমকারী-একনায়কতন্ত্র-বাকশালী শেখ মুজিবের বিপরীতে আল্লাহ সুবহানুতায়ালা আল্লাহ দাঁড় করিয়েছেন ন্যায়ের প্রতীক, সত্যবাদী দেশপ্রেমিক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে। যার ফলে মিথ্যাবাদী জুলুমকারী অন্যায়কারী বাকশালী শেখ মুজিবের স্বৈর-শাসনের অবসান হয় এবং ন্যায় প্রতিষ্ঠা পায়, সেই সাথে প্রতিষ্ঠিত হয় বহুদলীয় গণতন্ত্র। লেখাটি কি এখানেই  শেষ? না আমার লেখার মূল উদ্দেশ্য এখান থেকেই শুরু। বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠাকারী জিয়াউর রহমানের প্রতিষ্ঠিত গণতন্ত্র হত্যা করে অধিষ্ঠিত হলো হাসিনা সমর্থিত স্বৈরশাসক এরশাদ, যে হাসিনা স্বৈরশাসক এরশাদ ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হওয়ার পর  বলেছিল, “ I am not unhappy”। হাসিনার সমর্থনে এরশাদ কর্তৃক আবারও ন্যায়ের উপর অন্যায়ের প্রভাব বিস্তার শুরু করে। আবারও লড়াই শুরু কেরে গণতন্ত্রকামী মানুষ।

এবার রাজপথে নেমে এলেন একজন গৃহবধূ। যে গৃহবধূ স্বচক্ষে দেখেছেন এমন এক ব্যক্তিকে যে কিনা বলেছিল উই রিভোল্ট যে কিনা বলেছিল, “আমি মেজর জিয়া বলছি”। যে গৃহবধূ দেখেছিলেন এমন একজন সেনাপ্রধানকে যে কিনা সেনাবাহিনীতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে এনে সুশৃংখল সেনাবাহিনী গড়ে তুলেছিল। এরশাদ-হাসিনার কৌশল ও চালাকি সত্বেও আপোষহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে স্বৈরতন্ত্রের উৎখাত হলো, আবার দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হলো।
দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আবার গণতন্ত্র ও ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করেছিলেন এবং নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন দেশনেত্রী হিসাবে।

তথাকথিত ১/১১ সরকারের সাথে আপোষ করে হাসিনা ক্ষমতা দখল করে এবং দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার হাতে ফিরে আসা গণতন্ত্রের উপর দাঁড়িয়ে বাকশালী হাসিনা দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রেখে যাওয়া গণতন্ত্র হত্যা করেছে। এখানে একটি বিষয় আমাদের স্মরণ রাখা প্রয়োজন যে, ১/১১ সরকারের সাথে আপোষ করে হাসিনা দেশের বাইরে চলে গিয়েছিল। আপোষহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কিন্তু আপোষ করলেন না, তিনি দেশের বাইরে যাবেন না, কিছুতেই না এবং গেলেন না। বেগম খালেদা জিয়ার আপোষহীনতার জন্যই ১/১১ সরকার দীর্ঘস্থায়ী হয় নাই আর মইনুদ্দিনের আশাও পূর্ণ হয় নাই; তারা নির্বাচন দিতে বাধ্য হয়েছিল। ম্যাডাম যদি সেদিন দেশের বাইরে চলে যেতেন বাংলাদেশের পরিণতি যে কি হতো এবং গণতন্ত্রের ইতিহাস যে কি হতো সেটা বলা খুবই কঠিন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যখন দেশের বাইরে গেলেন না তখন স্বঘোষিত জাতীয় বেইমান-হরতালের মহারাণী বাকশালী হাসিনা তাড়াহুড়া করে দেশে ফিরলেন। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আপোষহীনতার কারণেই গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষা করার যে পথ তৈরি হয়েছিল, সে পথে দাড়িয়েই হাসিনা ক্ষমতা দখল  ও পরবর্তীতে স্বৈরতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে।

অন্যদিকে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আপোষ করেননি ২০০৯ সালে তথাকথিত ১/১১ সরকারের সাথে, আপোষ করেননি ২০১৪ সালের গণতন্ত্র থেকে স্বৈরতন্ত্রে পদার্পণকারী শেখ হাসিনার সাথে। তার আপোষহীনতাকে দুর্বলতা ভেবেছিল ষড়যন্ত্রকারীরা। জাতীয়তাবাদী দলকে অস্তিত্ববিহীন করতে দলের শীর্ষ দুই নেতা বেগম খালেদা জিয়া কারাগারে আর তারেক রহমানকে দেশের বাইরে যেরেত বাধ্য করে। মহান সৃষ্টিকর্তার পরিকল্পনা বরাবরই অন্যায়ের বিপক্ষে এবং ন্যায়ের পক্ষে। মাঝে মাঝে ন্যায়ের পথে থাকা মানুষদের কঠিন পরীক্ষা দিতে হয় এবং সত্যের পথে অবিচল থাকার পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়। পরীক্ষা শেষ এখন ফলাফল। আজকের জাতীয়তাবাদী দল আরও বেশী শক্তিশালী । যার ধারাবাহিকতা রক্ষায় বদ্ধ পরিকর বেগম খালেদা জিয়ার জ্যৈষ্ঠ সন্তান। সে যেন “অবরুদ্ধ নগরীর অবরুদ্ধ প্রাচীরে নিঃসঙ্গ এক প্রহরী, সারাক্ষণ চোখ তার জ্বল জ্বল করে, কি দিন কি রাত্রি”। যার ফলে আজ দলের জন্য নিবেদিত, ত্যাগী, দলের জন্য আশ্বস্ত, দলের জন্য বিশ্বস্ত নেতা-নেত্রীর আর কোন অভাব নাই। সেই সাথে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আপোষহীনতার কারণেই উন্মোচিত হয়েছে বাকশালী মুজিবের বাকশালী কন্যা শেখ হাসিনার নমরুদী-ফেরাউনী-আবুজেহেলী-শেখমুজিবের নগ্নচেহারার আসল রূপ। গণতন্ত্র হত্যা করা হাসিনার উত্তরাধিকার সুত্রে প্রাপ্ত আওয়ামী শেখমুজিবীয় বৈশিষ্ট্য। সেই সাথে ১৯৭৫ এর বাকশালী মুজিবের স্বপ্নের পূনঃবাস্তবায়ন করা হয় ২০১৪-তে।

অন্যায় করা, মিথ্যা বলা, দুর্নীতি করা, অর্থ পাচার, জনগণের ভাত-ভোটাধিকার হরণ হাসিনার প্রতিদিনের কাজ। বাকশালী হাসিনা নমরুদ ও ফেরাউনের নীতি গ্রহণ করছে। নমরুদ ও ফেরাউন গণকের কথার বাইরে যেত না। গণকের কথা মত যেমন নমরুদ ও ফেরাউন দেশ পরিচালনা করত, ঠিক তেমনি তাদের যমদূত (ন্যায়ের প্রতিনিধিত্তকারী) যেন পৃথিবীর আলো মুখ না দেখতে পারে, বেঁচে থাকতে না পারে তার জন্য সকল নবজাতককে হত্যা করা শুরু করল, যেন কোন নেতা তৈরি না হয়, না থাকে কোন নেতৃত্ব। কি মিলে যায় আমাদের দেশের সাথে? জাতীয়তাবাদী দলের সাথে? বেগম খালেদা জিয়ার মিথ্যা রায়ের সাথে? কি মিলে যায় আমাদের ভবিষ্যতের কাণ্ডারির মিথ্যা রায়ের সাথে? জাতীয়তাবাদী দলকে করতে চেয়েছে নেতৃত্ব শূন্য। নমরুদ ও ফেরাউন ছিল গণক আর হাসিনার আছে দাদারা। দাদারা কিন্তু সবার আগে হাসিনার যমদূতকে(ন্যায়ের প্রতিনিধিত্তকারী) চিনতে পেরেছে, অন্যায়ের প্রতিরোধকারীকে চিনতে ভুল করেনি। হাসিনা দাদাদের কথা মত তাদের যমদূত (ন্যায়ের প্রতিনিধিত্তকারী) তারেক রহমানকে নিশ্চিহ্ন করার সকল পরিকল্পনার বাস্তবায়ন শুরু করেছিল।

অত্যাচারী হাসিনাকে প্রতিরোধ করে ন্যায় প্রতিষ্ঠা করার, জনগণের ভাত-ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে একটি প্রতিবাদী গোষ্ঠী আবারও শত বাঁধা উপেক্ষা করে তৈরি হয়েছে। যার নেতৃত্ব এসে পড়েছে আবারও জাতীয়তাবাদী দলের উপর। এই প্রতিবাদী গোষ্ঠীর নেতৃত্ব অর্পিত হয়েছে তাঁর উপর। আমি সেই নেতা তারেক রহমানের কথা বলছি। যার জন্য দেশের জনগণ অপেক্ষা করছে। অপেক্ষা, আন্দোলন আর জনগণ একাকার হয়ে গিয়েছে। তারেক রহমান এমন একজন নেতা যিনি কিনা গত পনের বছর দেশের বাইরে। অথচ নেতা কর্মী সমর্থকের প্রতি রয়েছে নিরংকুশ সমর্থন, ভালবাসা ও প্রভাব। “চোখের আড়াল হলে নাকি মনের আড়াল হয়” কথাটাকে মিথ্যা প্রমাণ করেছেন আমার নেতা-আমাদের নেতা তারেক রহমান। হাজার হাজার কিলোমিটার দূরে থেকেও নেতা কর্মী সমর্থকের সাথে তারেক রহমানের যে সম্পর্ক গড়ে উঠেছে তা অকল্পনীয় যা শুধুমাত্র রাজনৈতিক নয়; এ সম্পর্ক রাজনৈতিক বলা হলে সম্পর্ককে হেয় করা হবে, এই সম্পর্কটা আত্মিক। তারেক রহমানের সাথে বাংলাদেশের জনগণের এ সম্পর্ক আত্মিক, মাটি ও মানুষের সম্পর্ক। যে আত্মিক সম্পর্কের সূত্র ধরেই দেশের জনগণ আস্থা রেখেছে হাজার হাজার কিলোমিটার দূরে থাকা সেই নেতার উপর। আবার ঐ নেতাও জনগণের আস্থাকে সন্মান দেখিয়ে দিয়েছেন অন্যায়র বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলে। তিনি ন্যায় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন। বজ্রকন্ঠে দৃঢ়চিত্তে বলেছেন টেক ব্যাক বাংলাদেশ।  

১৯৭১ সালে যার পিতার বজ্রকন্ঠের উই রিভোল্ট ব্যর্থ হয় নাই। ১৯৯০ সালে যার মাতার আপোষহীনতাও ব্যর্থ হয় নাই। ইনশাআল্লাহ সেই নেতার টেক ব্যাক বাংলাদেশও ব্যর্থ হবে না। প্রিয় নেতা আমার, বাংলাদেশের গণতন্ত্র উদ্ধারের ইতিহাস গড়ার সামনে দাড়িয়ে আপনি, পিছনে আমরা- যারা বিশ্বাস করি “স্রষ্টা ছাড়া করিনা ভয়, জাতীয়তাবাদীর হবেই জয়”। টেক ব্যাক বাংলাদেশ এর মধ্যেই নিহিত আছে “স্বৈরতন্ত্রের হবেই শেষ”।

Recent Posts