‘টেইক ব্যাক বাংলাদেশ’ এবং আমাদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ঐতিহাসিকতা

ড. মোঃ মোর্শেদ হাসান খান
ড. আবুল হাসনাত মোহাঃ শামীম

ঘটনাস্থল পল্টনে বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল (বিএনপি’র) কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনের রাজপথ। হারিয়ে ফেলা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের মহান ব্রত নিয়ে ২৮ জুলাই ২০২৩ এর ঐতিহাসিক মহাসমাবেশে উপস্থিত লাখ লাখ জনতা। উচ্ছসিত উপস্থিত জনতার সামনে জননেতা, আগামীর রাষ্ট্রনায়ক দেশনায়ক তারেক রহমানের সেই দীপ্ত উচ্চারণ এখন প্রতিটি দেশপ্রেমিক জাতীয়তাবাদীর হৃদয়ে ঝংকার তোলে ‘প্রিয় বাংলাদেশ। প্রিয় বাংলাদেশের মুক্তিকামী মানুষ। সমগ্র বাংলাদেশ আজ জেগে উঠেছে’। এর আগে মহাসমাবেশ সামনে রেখে ২৫ জুলাই মঙ্গলবার বাংলাদেশের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার মহান দাবি নিয়ে জাতির উদ্দেশ্যে বক্তব্য রেখেছিলেন জনাব তারেক রহমান।
তিনি বক্তব্যের শুরুতেই উল্লেখ করেন ‘গণতন্ত্রকামী প্রিয় জনগণ আসসালামু আলাইকুম। দেশ এবং জনগণ আজ এক গভীর সংকটে। এর আগেও বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশ আরও একাধিকবার এমন নৈরাজ্যের অন্ধকারে নিমজ্জিত হয়েছিল। তবে বার বার প্রতিবার দেশপ্রেমিক জাতীয়তাবাদী শক্তির সাহসী ভূমিকার কারণে দেশ সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যমুক্ত হয়েছিল। তলাবিহীন ঝুড়ির অপবাদ ঘুঁচিয়ে স্বাধীনতার ঘোষকের নেতৃত্বে দেশ-বিদেশে বাংলাদেশ একটি আধুনিক গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠা পেয়েছিল। মাদার অব ডেমোক্রেসি বেগম খালেদা জিয়ার আপোসহীন নেতৃত্বে স্বৈরাচারকে পরাজিত করে বাংলাদেশ এশিয়ার এমার্জিং টাইগারে পরিণত হয়েছিল’।
দেশনায়ক তারেক রহমানের এই বক্তব্যের ঐতিহাসিকতা বিচার করতে গেলে আমাদের ফিরে যেতে হবে নব্বইয়ের গণ আন্দোলনের সময়ে। তখন ক্ষমতা আঁকড়ে থাকা স্বৈরাচারী এরশাদের বিরুদ্ধে একাত্ম হয়েছিলেন অনেকেই। বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি এরশাদবিরোধী আন্দোলনে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিলেও আপোসহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া চেয়েছিলেন সবার সমান অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে এই আন্দোলনকে আরও সক্রিয় করে তুলতে। তাই বিরোধী দলগুলোর প্রতি আপোসহীন দেশনেত্রী খালেদা জিয়া আহ্বান জানান ‘লক্ষ্য যদি এক হয় তবে ঐক্যবদ্ধ হতে বাধা কিসের?’ পাশাপাশি তিনি আরও বলেন ‘বিভেদ ভুলে দেশকে ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে হবে’। তিনি দীর্ঘ আন্দোলনের পথ পরিক্রমায় সবাইকে বোঝাতে সক্ষম হয়েছিলেন স্বৈরাচার এরশাদের সরকার সকল স্তরের মানুষকে কিভাবে নিঃস্ব করে দিয়েছে।
আপোসহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া অন্তরের অন্তঃস্থল থেকে অনুভব করেছিলেন দেশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে বিএনপি’র বিকল্প নেই। তিনি মনে করেন গণজাগরণে ছাত্র সমাজকেই অগ্রণী ভূমিকা নিতে হবে। দেশনেত্রী বুঝেছিলেন আর যাই হোক স্বৈরচারী সরকারের মুখে গণতন্ত্র ও নির্বাচনের কথা শোভা পায় না। পাশাপাশি তিনি আরও বলেন গণতন্ত্র হত্যার জন্যে জাতীয় পার্টি ও আওয়ামী লীগ দায়ী। অন্যদিকে তিনি বুঝতে পেরেছিলেন দেশের অবস্থা কিভাবে ধীরে ধীরে নাজুক হওয়ার মধ্য দিয়ে তরুণ সমাজ বিপদের দিকে ধাবিত হচ্ছে।
তৎকালীন বিভিন্ন পত্রিকার শিরোনাম থেকে শুরু করে সংবাদ পর্যালোচনা করতে গেলে আমরা সহজেই বুঝতে পারি গণতন্ত্রের মা বেগম খালেদা জিয়া তখনও কিভাবে বুঝতে পেরেছিলেন অবৈধ স্বৈরাচারের স্বরূপ। তিনিও তখন সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন স্বৈরতান্ত্রিক অপশক্তির প্রতিভূ এরশাদ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনই নিরপেক্ষ হবে না। বাস্তবতার বিচারে দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বাধীন বর্তমান বি এন পির তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবির প্রেক্ষাপট এক ও অভিন্ন।
আপোসহীন দেশনেত্রী তখন বুঝতে পেরেছিলেন অবৈধ সরকারের নীল-নকশার নির্বাচন রুখে দিতে হলে সবার আগে দেশের তরুণ এবং ছাত্রজনতাকে এগিয়ে আসতে হবে। দৈনিক ইনকিলাব ২ এপ্রিল ১৯৯০ দেশনেত্রীর উদ্ধৃতি দিয়ে শিরোনাম করেছিল ‘ছাত্রদলকে নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করতে হবে’। কারণ তিনি জানতেন তরুণদের অংশগ্রহণ ব্যতিত কোনো আন্দোলন সফলতার মুখ দেখে না। দেশনেত্রী অনুভব করেন সরকারের প্রত্যক্ষ সহযোগী একটি শ্রেণী রাতারাতি নিজেদের ভাগ্য গড়ে তুলেছে। তাদেরকে সঙ্গে নিয়েই আরেকটি কথিত বিরোধী দলপ্রধানের রাজনৈতিক অহমিকা চরিতার্থ করার লক্ষ্যে একটি নীল-নকশার নির্বাচন হয়েছে। দেশনেত্রী সবার আগে জনগণকে বোঝাতে সক্ষম হন স্বৈরাচারী সরকারকে হটানো আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। পাশাপাশি তিনি প্রমাণ করেন দেশে ও বিদেশে এরশাদ সরকারের কোনো গ্রহণযোগ্যতা নেই।
সহজভাবে দেখতে গেলে যে কেউ তখন বুঝতে পারে বাংলাদেশের রাজনীতি দু’টি ধারায় বিভক্ত। এই দুটি ধারার একটি হচ্ছে গণতন্ত্রের পক্ষে অন্যটি স্বৈরাচারের দোসর। তিনি সরাসরি জনগণের সামনে দুটি পথ স্পষ্ট করে দিয়ে বলেন স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে দেশপ্রেমিক বাংলাদেশীদের আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে। আর এই আন্দোলন সফল করতে জাতীয়তাবাদী শক্তির বিকল্প নেই। এমনি নানা বিষয় আমলে নেওয়ায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার সংগ্রাম চলতে থাকে। তাঁর নেতৃত্বেই আগ্রাসী শক্তির বিরুদ্ধে গণতন্ত্রকামী জাতীয়তাবাদী শক্তির বিজয় হয়। বাংলাদেশের মানুষ গণ আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্রের পথে পা রাখে।
নব্বই সময়কালের দৈনিক পত্রিকাগুলো খোঁজ করতে গেলে অনেকগুলো বিষয় স্পষ্ট হবে। যেমন ১ জানুয়ারি ১৯৯০ দৈনিক ইনকিলাব লিখেছিল ‘নববর্ষে গণআন্দোলনের ঝড় তুলতে হবে- খালেদা জিয়া’। তারা সংবাদে লিখে, ‘বিএনপি চেয়ারম্যান বেগম খালেদা জিয়া দেশবাসীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। এক বাণীতে তিনি বলেন, স্বৈরাচার বিরোধী গণআন্দোলনকে শানিত করার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে আমরা বরণ করছি ইংরেজি ১৯৯০ সালকে। গণতন্ত্রহীন এমন এক পরিবেশে আমরা ১৯৯০ সালে পদার্পণ করছি যখন দেশে আইনের শাসন নেই, নেই মানুষের জীবনের নিরাপত্তা । ক্ষুধার জ্বালায় কর্মহীন হাজার হাজার বেকার মানুষেরা তাদের পরিবার পরিজন নিয়ে মৃত্যুর মুখোমুখি। গণআন্দোলনকে পুনর্বার বেগবান করে এই স্বৈরাচারী সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে জনপ্রতিনিধিত্বশীল সরকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে গণতন্ত্র, ন্যায় বিচার, সুষম বণ্টনভিত্তিক অর্থনীতি, শোষণমুক্ত সমাজ কায়েম করতে হবে– এটাই হোক আমাদের নববর্ষের শপথ। শহীদের রক্ত বৃথা যাবে না। জনতার বিজয় অবশ্যম্ভাবী’।
গণতান্ত্রিক আন্দোলনে রাজপথে সংগ্রামে নেমে দেশনেত্রী বুঝতে পেরেছিলেন স্বৈরাচারী সরকার কেনো সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনে ভয় পায়। কারণ হচ্ছে সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন হলে দেশের জনগণ ডাকসু নির্বাচনের ন্যায় জাতীয় নির্বাচনেও দেশপ্রেমিক জাতীয়তাবাদী শক্তিকেই বিজয়ী করবে। টঙ্গী পৌর মিলনায়তনে গাজীপুর জেলা যুবদলের দ্বিবার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির ভাষণ দিতে গিয়ে এজন্যই দেশনেত্রী বলেছিলেন ‘দুর্নীতি এখন সর্বোচ্চ মহল থেকে সর্বত্র চলছে। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় থাকলে দেশ ও জাতি ধ্বংস হয়ে যাবে। দেশ আজ অরাজকতায় ভরে গেছে। ব্যক্তি বিশেষের খেয়াল খুশি আর স্বেচ্ছাচারিতার কাছে দেশের মানুষ আজ জিম্মি’।
দীর্ঘ আন্দোলনের সফলতায় দেশনেত্রী প্রমাণ করেছিলেন একমাত্র দেশপ্রেমিক জাতীয়তাবাদী শক্তিই বাংলাদেশকে একটি সুন্দর ভবিষ্যতের দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে। সমাজ থেকে সকল প্রকার দুর্নীতির অবসান করে তিনি তার প্রমাণও দিয়েছেন। হয়তো অতীতের এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোকে আমলে নিয়েই সম্প্রতি এক ভাষণে দেশনায়ক তারেক রহমানের উচ্চারণও অভিন্ন। তিনি বলেন ‘আন্দোলনকারী জনগণের পক্ষ থেকে আমি আপনাদেরকে আশ্বস্ত করতে চাই আপনি যাতে দিনের বেলা ভোট কেন্দ্রে গিয়ে নিজের ভোটটি নিজেই নিরাপদে নিজের পছন্দের প্রার্থীকে দেবার অধিকার অর্জন করতে পারেন। আপনার সেই গৌরবজনক ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করার জন্যই জনগণের এই আন্দোলন। জনগণের এই আন্দোলন আপনাদের বিরুদ্ধে নয়। অতএব, জন প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রত্যেক কর্মকর্তা ও সদস্যের প্রতি আমার আহ্বান আমাকে আপনার ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার সুযোগ দিন’।
স্বৈরাচারী এরশাদ দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকার ফলাফল হিসেবে বাংলাদেশের জনগণ নিজের দেশে অনেকাংশে বন্দী হয়ে পড়েছিল। তারা তাদের ভোটের অধিকার হারানোর পাশাপাশি নিয়মতান্ত্রিক সব ধরণের সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হয়ছিল। এমনি পরিস্থিতিতে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের যোগ্য উত্তরসূরী হিসেবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এসে জনতার কাতারে দাঁড়িয়েছিলেন। তিনি গণ আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে নতুনভাবে প্রতিষ্ঠা করেন বাংলাদেশের হারিয়ে ফেলা গণতন্ত্র। দীর্ঘ আন্দোলনে ধিকৃত স্বৈরাচারের চোখে চোখ রেখে তিনি প্রমাণ করেছেন আধুনিক কল্যাণকামী রাষ্ট্রে জনমতের উপর কোনো মতামত থাকতে পারে না।
জনগণ তাদের ভোটের অধিকার ফিরে পাওয়ার পাশাপাশি স্বাধীনভাবে মত প্রকাশের অধিকার চেয়েছিল। আপোসহীন দেশনেত্রী তাদের সেই অধিকার আদায়ের সংগ্রামে সক্রিয় থেকেছেন রাজপথে। অবৈধভাবে ক্ষমতা আঁকড়ে থাকা স্বৈরাচারের উদ্দেশ্যে আপোসহীন দেশনেত্রীর দীপ্ত উচ্চারণ তার সিংহাসন টলিয়ে দিয়েছিল। গণতন্ত্রকামী জনতার উদেশ্যে দেশনেত্রী বলেছিলেন ‘৮ বছর যারা জনগণের মুখের গ্রাস নিয়ে অর্থের পাহাড় গড়েছে, মায়ের বুক খালি করেছে, দুঃখী মানুষের জন্যে আসা সাহায্য ব্যক্তি স্বার্থে ব্যবহার করে বিদেশে টাকা জমিয়েছে তাদের বিচার হবে’। পাশাপাশি জনগণের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত না হওয়া পর্যন্ত সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন। এজন্যই তখন তীব্র আন্দোলনের মুখে পতন ঘটেছিল স্বৈরাচারের, মুক্ত হয়েছিল বাংলাদেশের মানুষ।
চলমান গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে দেশনায়ক তারেক রহমানের বলিষ্ঠ উচ্চারণে আমরা খুঁজে পাই নব্বই দশকের ঐতিহাসিক গণ-আন্দোলনের প্রতিচ্ছবি। মুক্তিকামী জনতার উদ্দেশ্যে দেশনায়কের দীপ্ত উচ্চারণ ঠিক এমন ‘প্রিয় দেশবাসী, সবশেষে আমি সারা দেশে আমার দলের সর্বস্তরের নেতা, কর্মী, সমর্থক, শুভাকাংখী এবং বিশেষ করে গণতন্ত্রকামী প্রিয় দেশবাসীর উদ্দেশ্যে আহ্বান করে বলতে চাই ক্ষমতাসীন অপশক্তি নানা নোংরামি ও গুজব শুরু করেছে। আপনারা এসব অপপ্রচার ও গুজব সম্পর্কে সচেতন থাকবেন। এসব অপপ্রচার গুজবে কান দেবেন না। প্রয়োজন ঐক্য, সময়ের দাবি ঐক্যবদ্ধ থাকা। চোখ কান খোলা রাখুন। ক্ষমতাসীন আওয়ামী অপশক্তির দিন দ্রুত ফুরিয়ে আসছে। মনে রাখবেন আওয়ামীলীগের প্রতিটি নেতাকর্মীর রাত কেটে ভোর আসে ক্ষমতা হারানোর এক অজানা আশঙ্কায়। অপরদিকে গণতন্ত্রকামী প্রতিটি মানুষের রাত কেটে নতুন সূর্যোদয় ঘটে একটি গণতান্ত্রিক ভোরের প্রত্যাশায়। সুতরাং গণতন্ত্রকামী জনগণের হারানোর কিচ্ছু নেই। বরং মুক্তিকামী মানুষের বিজয় আসন্ন। ইনশাআল্লাহ’।
সম্প্রতি বাংলাদেশের মানুষ দেশনায়ক তারেক রহমানের সুযোগ্য নেতৃত্বে আরেকবার ঐক্যবদ্ধ হয়েছে তাদের হারিয়ে ফেলা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের প্রয়াসে। বাংলাদেশের মানুষ বর্তমানে কোনো অলীক স্বপ্ন কিংবা মরীচিকার পেছনে ছুটছে না। তাদের নেত্রী, আপোষহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া যে গণতান্ত্রিক সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখিয়েছেন তা তারা হারিয়ে যেতে দেবে না। তাই জনগণ আবার রাজপথে পা রেখেছে দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বে। এজন্যই যে ‘টেইক ব্যাক বাংলাদেশ’ শ্লোগানে পুরো দেশ কেঁপে উঠেছে, পুরো বাংলাদেশের মানুষ জেগে উঠেছে তা কোনো ইউটোপিয়া নয়। এটাই সে বাংলাদেশ, যেই বাংলাদেশ গণতন্ত্রের মা আপোষহীন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া তাঁর যোগ্য নেতৃত্ব, সততা আর আন্তরিকতার মাধ্যমে আমাদের উপহার দিয়েছিলেন। মুক্তিকামী জনতাকে সঙ্গে নিয়ে জননেতা, আগামীর রাষ্ট্রনায়ক দেশনায়ক তারেক রহমানের নেতৃত্বাধীন এই গণ-আন্দোলন সফল হলে আমরা আবার ফিরে পাবো সেই বাংলাদেশ যেখানে সবাই তাদের ভোটাধিকার সমুন্নত করবে, মানুষের অধিকার, ন্যায়বিচার ও সাম্য প্রতিষ্ঠা পাবে।

লেখকদ্বয়ঃ অধ্যাপক, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং অধ্যাপক, বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়।

Recent Posts