উই রিভোল্ট বলে যে যুদ্ধের শুরু

সায়ন্থ সাখাওয়াৎ

বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধ হঠাৎ করে একটি মিটিং বা একটি ঘোষণার মাধ্যমেই হয়ে যায়নি। সে জন্য ক্ষেত্র প্রস্তুত করতে হয়েছে। পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকদের বৈষম্যমূলক আচরণ ও তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের মানুষকে অধিকার বঞ্চিত করে রাখা সে ক্ষেত্র প্রস্তুতিতে ভূমিকা রেখেছে। পূর্ব পাকিস্তান শাসকদের বৈষম্য ও বঞ্চনা ক্ষুব্ধ করে তুলেছিল প্রতিটি অধিকার সচেতন মানুষকে। তারই সূত্র ধরে আসে ২৬ মার্চ এর মাহেন্দ্রক্ষণ। ১৯৭২ সালের ২৬ মার্চ দৈনিক বাংলায় প্রকাশিত শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ‘একটি জাতির জন্ম’ নিবন্ধেও উঠে এসেছে দীর্ঘদিনের বঞ্চনা ও ক্ষোভের পথ বেয়ে কী করে একটি জাতির জন্ম হল সে কথা। যুদ্ধ শুরুর চূড়ান্ত ক্ষণ নিয়ে তিনি লিখেছেন,‘১৭ মার্চ স্টেডিয়ামে ইবিআরসির লেফটেনান্ট কর্নেল এমআর চৌধুরী, আমি, ক্যাপ্টেন অলি আহমদ ও মেজর আমিন চৌধুরী এক গোপন বৈঠকে মিলিত হলাম। এক চূড়ান্ত যুক্ত পরিকল্পনা গ্রহণ করলাম। লে. কর্নেল চৌধুরীকে অনুরোধ করলাম নেতৃত্ব দিতে। … এটা ছিল একটা সিদ্ধান্ত গ্রহণের চূড়ান্ত সময় (২৫ মার্চ দিবাগত রাতে, ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে)। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই আমি বললাম, উই রিভোল্ট। আমরা বিদ্রোহ করলাম।’
ইতিহাস এ সাক্ষ্য দেয় যে আমাদের মুক্তিযুদ্ধে রাজনৈতিক বা সামরিক প্রথম কোন প্রকাশ্য বিদ্রোহ ছিল জিয়াউর রহমানের ‘উই রিভোল্ট’ বলে গুলি ছুঁড়ে বিদ্রোহ করা। তারপর তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের সঙ্গে হয়ে উঠেন অবিচ্ছেদ্য। নিজে যুদ্ধ করে, সেক্টর কমান্ডার ও জেড ফোর্সের অধিনায়ক হিসেবে নেতৃত্ব দিয়ে হয়ে ওঠেন বাংলাদেশের জন্ম ইতিহাসের এক অভিন্ন সত্ত্বা।
জিয়াউর রহমানকে স্বাধীনতার ঘোষক বলে মেনে নিতে অনেকের আপত্তি থাকলেও তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যার ঘোষণার কণ্ঠস্বর এখনো অবিকৃতভাবে টিকে আছে। তাঁর আগেও ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল বলে দাবিও করেন কেউ কেউ। সে সব নিয়ে বিতর্ক আছে। বিতর্ক আছে স্বাধীনতার ঘোষণার তারিখ নিয়েও। এসব বিতর্কের পেছনে রাজনৈতিক দূরভিসন্ধিও আছে। কিন্তু যারা জিয়াউর রহমানের কৃতিত্বকে খাটো করতে চান, তারাও স্বীকার করতে বাধ্য হন যে জিয়াউর রহমানের কণ্ঠে স্বাধীনতার ঘোষণা তারা শুনেছেন এবং তাতে উদ্দিপ্ত হয়েছেন।
স্বাধীনতা যুদ্ধের উপ-অধিনায়ক ও পরে আওয়ামী লীগ সরকারের পরিকল্পনা মন্ত্রী এ কে খন্দকার তার বহুল আলোচিত ১৯৭১ঃ ভেতরে বাইরে বইতে জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা সম্পর্কে লিখেছেন, রেডিওতে আমি মেজর জিয়ার ঘোষণা শুনেছি। … এই ঘোষণা সারা বাংলাদেশের মানুষ শুনেছে। আমার ধারণা, আমার মতো অনেকে যাঁরা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করতে চেয়েছিলেন, এই ঘোষণা শোনার পর তাঁরা আরও উৎসাহিত হন। এবং দৃঢ়ভাবে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন যে তাঁরা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করবেন। স্বাধীনতা অর্জনের জন্য যে যুদ্ধ আমরা আরম্ভ করেছি, তা সফল হবেই। এই ঘোষণা শুনে আমি নিজেও খুব উৎফুল্ল এবং আনন্দিত হয়েছিলাম (পৃষ্ঠা-৬০)।

গোলাম মুরশিদের লেখায়ও এসেছে প্রায় অভিন্ন বক্তব্য। তিনি লিখেছেন,‘… এ কথা স্বীকার না-করে উপায় নেই যে, তাঁর ঘোষণা বাংলাদেশের যেসব জায়গায় শোনা গিয়েছিল, সেসব জায়গায় লোকেরা দারুণ উৎসাহিত হয়েছিলেন। আমীর-উল ইসলাম লিখেছেন যে, তাজউদ্দীন এবং তিনি ফরিদপুর অথবা কুষ্টিয়ার কাছে একটা জায়গায় বসে এই ঘোষণা শুনতে পান। তাঁরাও উৎসাহিত বোধ করেন। (আমীর-উল ইসলাম, ১৯৯১) এইচ টি ইমাম লিখেছেন যে, তিনি এই পথে থাকার সময়ে এই ঘোষণা শুনতে পেয়ে খুব উৎসাহিত হয়েছিলেন (ইমাম, ২০০৪)। যাঁরা বিভিন্ন জায়গায় যুদ্ধ শুরু করেছিলেন, এ ঘোষণা শুনে তাঁরাও অনুভব করেন যে, তাঁরা একা নন, দেশের অন্যত্রও যুদ্ধ হচ্ছে। সেদিক থেকে বিচার করলে, জিয়াউর রহমানের এই ঘোষণা ছিল ঐতিহাসিক এবং অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ (মুক্তিযুদ্ধ ও তারপর : একটি নির্দলীয় ইতিহাস, পৃষ্ঠা-৮৯ )।
তাজউদ্দীন আহমদ নেতা ও পিতা গ্রন্থে তাজউদ্দীন আহমদের জ্যেষ্ঠ কন্যা শারমিন আহমদ বলেন, কালুরঘাটে চট্টগ্রাম বেতারের শিল্পী বেলাল মোহাম্মদ প্রতিষ্ঠিত স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী ট্রান্সমিটারের মাধ্যমে মেজর জিয়াউর রহমানের (পরবর্তী সময়ে জেনারেল ও প্রেসিডেন্ট) ২৭ মার্চের স্বাধীনতার ঘোষণাটি অধিকাংশ মানুষের কাছে পৌঁছে যায়।
মেজর জিয়াউর রহমানের দেওয়া স্বাধীনতার ঘোষণার প্রেক্ষাপট স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অন্যতম সংগঠক বেলাল মোহাম্মদও তার স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র বইতে বিস্তারিত বর্ণনা দিয়েছেন।
মঈদুল হাসান তার মূলধারা ‘৭১ বইতে এ বিষয়ে তো উল্লেখ আছেই এবং একে খন্দকার, মঈদুল হাসান, এসআর মির্জা মুক্তিযুদ্ধের পূর্বাপর কথোপকথন বইতেও মঈদুল হোসেন বলেন, আমি অন্যের কথা কী বলব, মেজর জিয়ার বেতার ঘোষণা শুনে আমি নিজে মনে করেছিলাম যে, না, সত্যি তাহলে সামরিক বাহিনীর বিপুল সংখ্যক লোক বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে। এটা আমার মনে বিরাট প্রতিক্রিয়া সৃিষ্ট করে এবং আমি উৎসাহিত বোধ করি। আমি আশেপাশে যাদের চিনতাম তারাও এই ঘোষণায় উৎসাহিত হন। সুতরাং জিয়ার সেই সময়টুকুর সেই অবদান খাটো করার প্রশ্ন উঠেনা (পৃষ্টা ৩১)।
মেজর জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) ইমাম-উজ-জামান বীর বিক্রমের মুক্তিযুদ্ধে জিয়াউর রহমান, বর্তমান আওয়ামী লীগ নেতা মেজর জেনারেল সুবিদ আলী ভুইয়ার মুক্তিযুদ্ধে নয় মাস, আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ও মন্ত্রী প্রয়াত আবদুর রাজ্জাকের ১৯৮৭ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি সাপ্তাহিক মেঘনা’র সঙ্গে ‘বঙ্গবন্ধু ইয়াহিয়া খানের সাথে স্বাধীনতার প্রশ্নে আপোস প্রস্তাব বিবেচনা করছিলেন’- শিরোনামের সাক্ষাৎকার, সেক্টর কমান্ডার ও পরে আওয়ামী লীগ নেতা কে এম শফিউল্লাহর ইঅঘএখঅউঊঝঐ অঞ ডঅজ (উঐঅকঅ, অঈঅউঊগওঈ চটইখওঝঐঊজঝ ১৯৮৯), আওয়ামী লীগ নেতা ও সাবেক এমপি মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) রফিকুল ইসলামের অ ঞঅখঊ ঙঋ গওখখওঙঘঝ, ভারতের সাবেক প্রধান মন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ১৯৭১ সালের ৬ নভেম্বর কলম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয় দেওয়া বক্তৃতা, ভারতীয় সীমান্ত নিরাপত্তা বাহিনীর প্রধান দপ্তরে অপারেশন, ইন্টেলিজেন্স ও প্রশাসনিক বিভাগের সাবেক মহা-পরিদর্শক ও ঔপন্যাসিক বীরেন্দ্র কুমার গৌড় -এর ণঁহ ঔধহসধ ইধহমষধফবংয বা এভাবে জন্ম নিল বাংলাদেশ সহ বহু গ্রন্থে লিপিবদ্ধ আছে জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা ও তার ব্যাপক প্রভাব নিয়ে।
১৯৭২ সালের ৭-৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ও অস্থায়ী সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন আহমদের রিপোর্ট, জিয়াউর রহমানের যুদ্ধকালীন সহকর্মী যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা শমসের মবিন চৌধুরী বীর বিক্রমের মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে কমান্ডার জিয়া সহ আরো বহু প্রামাণ্য দলিল পাওয়া যায় জিয়াউর রহমানের দেওয়া স্বাধীনতার ঘোষণা বিষয়ে।
রাজনীতিবিদ, রাজনীতি বিশ্লেষক ও লেখক বদরুদ্দীন উমর ২০১৫ সালে প্রকাশিত তার ১৯৭১ সালের যুদ্ধ শুরুর মুহূর্তে বইয়ের মুখবন্ধ-তে বলেন, … “মেজর জিয়া ২৭ মার্চ চট্টগ্রাম রেডিও মারফত স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়েছিলেন এবং এ নিয়ে কোনো বিতর্কের অবকাশ নেই যে, হান্নান নয়, তাঁর ঘোষণাটিই সারা দেশে শোনা গিয়েছিল এবং এর বিশাল প্রভাব তৈরি হয়েছিল। কি শেখ মুজিব, কি আওয়ামী লীগের কোনো প্রভাবশালী নেতা, ঢাকার কারো কাছ থেকেই কোনো ঘোষণার অনুপস্থিতিতে পাকিস্তানি বাহিনীর আক্রমণের ওই সংকটময় মুহূর্র্তে জনগণের কাছে আর আঁকড়ে ধরার মত কিছুই ছিল না। মেজর জিয়ার এই ঘোষণা জনগণের ভেতর যথেষ্ট উদ্দীপনা তৈরি করেছিল, বিশেষ করে তাদের ভেতর যারা প্রতিরোধ শক্তিতে সক্রিয়ভাবে যোগদানের জন্য অপেক্ষা করছিল। … মেজর জিয়াই ২৭ মার্চ ঐতিহাসিক স্বাধীনতার যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছিলেন যা এমন মুহূর্তে প্রতিরোধের শক্তিকে সংগঠিত করেছিল যখন রাজনৈতিক নেতৃত্ব পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছিলেন।”

স্বাধীনতার ঘোষণা ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ভূমিকা নিয়ে এমনি আরো বহুজনের সাক্ষ্য বহু গ্রন্থে গ্রন্থিত হয়েছে। ফলে আওয়ামী লীগের মনগড়া বা আদালতের নির্ধারিত ইতিহাস যে প্রকৃত ইতিহাস নয় সেটা একদিন অবশ্যই পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে ইতিহাসের নিয়মেই।
স্বাধীন বাংলাদেশেও গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের যে চেষ্টা ছিল তাও ইতিহাসে নির্ধারিত হয়ে আছে। তিনি যে বাংলাদেশের অভ্যুদয় থেকে শুরু করে বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন সে বিষয়টি যারা অস্বীকার করেন তারা মূলত বাংলাদেশকেই অস্বীকার করেন।
শুধু স্বাধীনতার ঘোষণা ও যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েই দায়িত্ব শেষ করেননি জিয়াউর রহমান। জাতীয় স্মৃতিসৌধ, সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি স্বাধীনতা দিবস পুরস্কারও প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের অবদান

স্বাধীনতার ঘোষণা ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ভূমিকা নিয়ে এমনি আরো বহুজনের সাক্ষ্য বহু গ্রন্থে গ্রন্থিত হয়েছে। ফলে আওয়ামী লীগের মনগড়া বা আদালতের নির্ধারিত ইতিহাস যে প্রকৃত ইতিহাস নয় সেটা একদিন অবশ্যই পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে ইতিহাসের নিয়মেই।
স্বাধীন বাংলাদেশেও গণতন্ত্র, উন্নয়ন ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বাংলাদেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের যে চেষ্টা ছিল তাও ইতিহাসে নির্ধারিত হয়ে আছে। তিনি যে বাংলাদেশের অভ্যুদয় থেকে শুরু করে বহুদলীয় গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন সে বিষয়টি যারা অস্বীকার করেন তারা মূলত বাংলাদেশকেই অস্বীকার করেন।
শুধু স্বাধীনতার ঘোষণা ও যুদ্ধে নেতৃত্ব দিয়েই দায়িত্ব শেষ করেননি জিয়াউর রহমান। জাতীয় স্মৃতিসৌধ, সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি স্বাধীনতা দিবস পুরস্কারও প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের অবদান।
১৯৭২ থেকে ‘৭৫ ও ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সময় ক্ষমতায় থাকতে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের কল্যাণে আলাদা মন্ত্রণালয় করার কথা ভাবেওনি আওয়ামী লীগ। মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রনালয়টিও ম্যাডাম খালেদা জিয়ার বিএনপি সরকারের সময়ে করা। এমন কী শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের বীর উত্তম খেতাব বাতিলের সিদ্ধান্ত দিয়ে সমালোচনায় আসা জামুকাও (জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল) ২০০২ সালে বিএনপি সরকারই গঠন করে।
বাংলাদেশের অভ্যুদয় ও ইতিবাচকভাবে এগিয়ে যাওয়ার প্রতিটি বাঁকে বাঁকে এভাবেই জড়িয়ে আছে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও তার গড়া দল বিএনপি ও তার যোগ্য উত্তরসূরী বেগম খালেদা জিয়ার নাম। তাঁদের নাম মুছে ফেলার চেষ্টা করা মানে বাংলাদেশের অস্তিত্বে আঘাত হানা। শুধু স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর পূর্তিতে নয়, শতবর্ষ-সহ¯্রবর্ষ পূর্তিতেও বাংলাদেশের মানুষ শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করবে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার নাম।

লেখক: সাধারণ সম্পাদক জি-নাইন ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক

Recent Posts