/tmp/aexnp.jpg সামাজিক ন্যায় বিচার ও জিয়ার চিন্তাধারা: বর্তমান প্রেক্ষাপটে - ziaurrahman

সামাজিক ন্যায় বিচার ও জিয়ার চিন্তাধারা: বর্তমান প্রেক্ষাপটে

এম. সলিমউল্লাহ খান

জিয়ার চিন্তাধারা সম্পর্কে লিখতে গেলে স্বল্প পরিসরে এর সামগ্রিক দিক উল্লেখ করা সম্ভব নয়। এই বাস্তবতা মেনে নিয়ে জিয়ার চিন্তাধারার কতিপয় দিক পাঠকদের জ্ঞাতার্থে সংক্ষেপে নি¤েœ তুলে ধরা হলো। আলোচ্য প্রবন্ধে সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রেক্ষাপটে জিয়ার নিজস্ব ভাবনার উপর জোর দেয়া হবে। এই সাথে আলোচ্য প্রবন্ধে সম-সাময়িক রাজনৈতিক ঘটনা প্রবাহের উপর কিছু আলোকপাত করা হবে।
জিয়ার প্রাথমিক সামাজিকীকরণ, পেশাগত জীবন, মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং পরবর্তীতে দেশের আর্থ-সামাজিক-রাজনৈতিক ঘটনা প্রবাহ তাঁর বিশ^াস-ব্যবস্থা ও রাজনৈতিক-সামাজিক চিন্তাধারায় দারুণ প্রভাব বিস্তার করেছিল। তাঁর কর্মজীবনের অভিজ্ঞতায় জিয়া তাঁর বিশ^াস-ব্যবস্থায় চারটি বিষয়ের উপর জোর দেন- সর্বশক্তিমান আল্লাহর উপর অবিচল আস্থা; বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ; বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং ‘ইনসাফ’ অর্থাৎ আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা। তাঁর ঘোষিত ১৯ দফা কর্মসূচিতে এগুলির বিস্তারিত বর্ণনা আছে। গতানুগতিক ব্যাখ্যার বাইরে সামাজিক ন্যায়বিচার হিসেবে তিনি নতুনভাবে সমাজতন্ত্রের ব্যাখ্যা উপস্থাপন করেন। তাঁর ব্যাখ্যায় দ্বি-মত থাকতে পারে, সমালোচনা থাকতে পারে। কিন্তু বাংলাদেশ এবং সমসাময়িক বিশে^র আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে জিয়া এরূপ একটি মিশ্র-অর্থনৈতিক পরিকল্পনা পেশ করেন। তাঁর পরিকল্পনার উল্লেখযোগ্য দিক হলো: ধর্ম-বর্ণ-গোত্র নির্বিশেষে সকল মানুষের জন্য অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনার মত মৌলিক চাহিদা পূরণের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা; জাতীয় পরিকল্পনার আলোকে বিপুল জনশক্তির ব্যবহার; জনকল্যাণধর্মী কর্মসূচি প্রণয়ণ; স্বার্থবাদীদের সমাজবিরোধী তৎপরতা ও একচেটিয়া মুনাফা লাভের পথ বন্ধ করা অর্থাৎ তাঁর বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী দর্শনে আছে এমন একটি শোষণ মুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন যাতে থাকবে ‘সমতা, নিরপেক্ষতা ও সামাজিক ন্যায়বিচার’। বাংলাদেশের সম্পদ সীমিত। বিভিন্ন রকমের রাষ্ট্রীয় সার্ভিসও সীমিত। জিয়া গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করেন, এই সীমিত সম্পদ এবং সার্ভিসও মুষ্টিমেয় লোকের হাতে কুক্ষিগত। অতএব, সমাজ উন্নয়নের জন্য এই সীমিত সম্পদের সুষম ও ন্যায়সঙ্গত বণ্টন অত্যাবশ্যক যা মোটেই সহজ কাজ নয়। এ প্রক্রিয়ায় এ সম্পদ ও সার্ভিসের যারা নিয়ন্ত্রক তথা কায়েমী স্বার্থবাদের কাছ থেকে প্রবল বাধা আসবে। কিন্তু জিয়া মনে করতেন পরিকল্পিত ও সুসংহত প্রচেষ্টার মাধ্যমে এসব স্বার্থবাদী গোষ্ঠীর মোকাবেলা করা সম্ভব। এই জন্য প্রয়োজন গণ-সংগঠনের মাধ্যমে দেশের বিপুল জনশক্তিকে কাজে লাগানো। তাদের দুঃখ-দুর্দশার কথাগুলো অব্যাহতভাবে তাদের জানানো। শহর ও পল্লী এলাকার জীবনযাত্রা ও আধুনিকতার মান পর্যবেক্ষন করে তিনি ভিন্ন ভিন্ন সংগঠনের মাধ্যমে শান্তিপূর্ণভাবে জনগণকে সুসংগঠিত করার উপর গুরুত্বারোপ করেন, এবং সতর্ক করেন, এই প্রক্রিয়ায় অর্থাৎ শোষণমুক্ত সমাজ প্রতিষ্ঠার আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে যেন বিভিন্ন পর্যায়ে বিদেশী হস্তক্ষেপের সুযোগ বা সম্ভাবনার সৃষ্টি না হয়। জিয়া মনে করতেন আত্মনির্ভরশীলতা অর্জনের জন্য গ্রামের সর্বনি¤œ পর্যায়ে আর্থ-সামাজিক ইউনিট হিসেবে স্বনির্ভর গ্রাম সরকার গড়ে তোলা যুগোপযোগী হবে যা খাদ্য, সাক্ষরতা, স্বাস্থ্য, পরিবার পরিকল্পনা ও আইন শৃঙ্খলার মত মৌলক ও মানবিক প্রয়োজন মেটাতে সক্ষম হবে যাতে তাঁর কাঙ্খিত বহুদলীয় গণতন্ত্রের আদর্শ তৃণমূল পর্যায়ে বিস্তৃত হবে। জিয়া তাঁর চিন্তাধারায় গতানুগতিকতার চেয়ে আধুনিকতাকে অগ্রাধিকার দিতেন। এতে পশ্চাদমুখীতা বা প্রতিক্রিয়াশীলতার কোন স্থান ছিল না। ছিল না কোন হঠকারী ও উষ্কানিমূলক কর্মকান্ডের স্থান। তাঁর এসব সমন্বিত কর্মসূচিকে ‘তিনি শান্তিপূর্ণ বিপ্লব’ হিসেবে চিহ্নিত করেছিলেন। তাঁর লক্ষ্য ছিল, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব সংরক্ষণ, কৃষি, শিক্ষা, পরিবার কল্পনা, দেশ ব্যাপী বিদ্যুতায়ন, শিল্প উৎপাদন, সীমিত সম্পদের সুষম বণ্টন, তথ্য, সাম্য অর্থাৎ ন্যায় বিচারভিত্তিক একটি সুষ্ঠু সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তোলা। ফলত আত্মনির্ভরশীলতা অর্জনের পথে আমাদের দেশ ও সমাজ ব্যবস্থা অনেক দূর এগিয়ে যাবে যা আঞ্চলিক আধিপত্যবাদী শক্তি ও তাদের এদেশীয় দোসরদের কাম্য ছিল না। জিয়া বুঝতে পেরেছিলেন, তাঁর এসব জনকল্যাণমুখি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করতে গেলে কায়েমী স্বার্থবাদী মহল থেকে প্রচন্ড বাধার সম্মুখীন হবেন। কিন্ত তিনি পিছু হঠেননি। ফলত এ জাতীয় কল্যাণধর্মী কর্মসূচি বাস্তবায়নের পথে দেশী-বিদেশী চক্রান্তকারীদের হাতে তাঁকে জীবন দিতে হয়েছিল।

রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট


রাজনৈতিক অঙ্গনে জিয়ার পদচারণার পটভূমি, তাঁর সামাজিক ন্যায়নীতির ধারণা বুঝতে আরো সহায়ক হবে বলে আমি মনে করি। অতএব, রাজনৈতিক অঙ্গনে তাঁর অভ্যূদয়ের প্রেক্ষিতে কতিপয় দিক অতি সংক্ষিপ্ত আকারে নিম্নে প্রদত্ত হলো। রাজনৈতিভাবে ১৯৭১ সালের মার্চ ২৫/২৬ এর গভীর রাতে পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে দৃঢ় কন্ঠে ‘We revolt’ বলা, তৎপরবর্তীতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা, এবং ১৯৭৫ সালে ৭ই নভেম্বরে সিপাহী জনতার অভূত্থান রাজনৈতিক অঙ্গনে তার বৈধতা অর্জনের নিয়ামক অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছিল। ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়ে জিয়া উত্তোরাধিকার সূত্রে পাওয়া সামরিক শাসনকে স্বল্প সময়ে সফলভাবে বেসামরিকীকরণে রূপান্তর করেন অর্থাৎ জনগণের কাছে ক্ষমতা ফিরিয়ে দেন। জিয়া তাঁর স্বল্পকালীন শাসনামলে, নভেম্বর ১৯৭৫- মে ১৯৮১, বাংলাদেশকে একটি আধুনিক এবং কল্যাণমূলক রাষ্ট্রগঠনে যে পদ্ধতি অনুসরণ করেছিলেন, সমসাময়িক বিশ^ রাজনীতিতে তা অতি বিরল। এ সময় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ আন্তর্জাতিক সংস্থায় বাংলাদেশের আসন লাভ এর জ¦লন্ত প্রমাণ।


জিয়ার প্রতিষ্ঠিত বিএনপি তাঁর ভাবমূর্তির উপর ভিত্তি করে গণমানুষের ভোটে বেশ কয়েকবার ক্ষমতায় আসীন হয়। তাঁর উত্তোরসূরী দেশনেত্রী খালেদা জিয়া তিনবার বিএনপিকে ক্ষমতায় আসীন করেন। দেশী-বিদেশী বিভিন্ন গবেষণায় দেখা যায়, ‘শাসনকার্যক্রম ও জনসন্তুষ্টির’ স্কেলে খালেদা জিয়ার শাসনামল বর্তমান ক্ষমতাসীনদের তুলনায় বেশ এগিয়ে ছিল। কিন্তু কোন কোন সমালোচকদের মতে উক্ত সময়েও বিএনপি প্রশাসন জিয়ার আদর্শের অন্যতম মূল ভিত্তি সামাজিক ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠায় কতদূর এগিয়ে যেতে পেরেছিল? বা তারা কতদূর এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন? বিএনপি নেতৃত্বকে ভবিষ্যতে এ দিকে সবিশেষ দৃষ্টিপাত করতে হবে বলে আমি মনে করি।
দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে খালেদা জিয়ার শাসনামলে দেশী-বিদেশী চক্রান্ত অব্যাহত ছিল যাদের প্রত্যক্ষ প্ররোচনায় ঘটে ‘১/১১’র মতো কূখ্যাত ঘটনা। এদেরই প্রত্যক্ষ পৃষ্ঠপোষকতায়
বর্তমান ক্ষমতাসীনরা ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়। এসব দেশী-বিদেশী চক্রের মূল টার্গেট শহীদ জিয়ার আদর্শ, তাঁর প্রতিষ্ঠিত বিএনপি এবং এর বর্তমান নেতৃত্ব – দেশনেত্রী খালেদা জিয়া এবং তারূণ্যের প্রতীক তারেক রহমান। দেশবাসীর প্রত্যাশা এসব বাধা-বিঘ্ন অতিক্রম করে শহীদ জিয়ার আদর্শ অনুসরণ করে বিএনপি’র বর্তমান নেতৃত্ব এগিয়ে যাবে।

সাম্প্রতিক ঘটনপ্রবাহ
বর্তমান ক্ষমতাসীনদের আমলে উন্নয়নের কথা আইয়ুব দশকের মতো জোরেশোরে বলা হচ্ছে। কাঠামোগত উন্নয়নের ক্ষেত্রে কিছু পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়। ভাল কথা। সরকারী প্রচারণা ও সরকার সমর্থক মিডিয়ায় এসব কথিত সাফল্যের কথা বেশ জোরেশোরে প্রচার করা হলেও বাস্তব চিত্র কিন্তু ভিন্নতর। এসব অসম উন্নয়নের কুফল শীঘ্রই দেশের সামষ্টিক অর্থনীতির উপর পড়ার সমূহ সম্ভাবনা আছে। ইতোমধ্যেই এর প্রভাব লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ক্রমবর্ধমান বেকার সমস্যা, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি কোন কোন ক্ষেত্রে এর লাগামহীনতা ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবের চেয়ে সরকারের ভুল অর্থনীতিরই প্রতিফলন। গত এক দশকে বাংলাদেশে দূর্নীতির পরিসীমা সর্বকালের রেকর্ড ভঙ্গ করেছে। শেয়ার বাজার কেলেঙ্কারী, হলমার্ক, ডেসটিনি, ভোজ্যতেল কেলেঙ্কারী ইত্যাদি ঘটনা এক্ষেত্রে খন্ডিত কিছু উদাহরণ মাত্র। সর্বোপরি বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ চুরি, যা বিশ^ ইতিহাসে বিরল ঘটনা, ইত্যাদিরও কোন সুরাহা আজ পর্যন্ত হয়নি। ক্ষমতাসীনদের উর্ধ্বতন নেতৃবৃন্দ বলছেন তাদের দলে ‘শুদ্ধি’ অভিযান চলছে। বিরোধীরা বলছে এটি লোক দেখানো। এতে যাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে, তারা প্রায় সবাই সরকার দলীয় নি¤œ পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। রাঘব বোয়ালেরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছে। ক্ষমতাসীনদের এসব অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের প্রকৃত স্বরূপ কি বা এর শেষ পরিণতি কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তা জানতে দেশবাসীকে আরও কিছুকাল অপেক্ষা করতে হবে।
গুম-খুন-হত্যা ইত্যাদি এখন সমাজ জীবনের নিত্য দিনের বৈশিষ্ট্য। তৃণমূল থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ বিদ্যাপিঠ বিশ^বিদ্যালয় পর্যন্ত এসব সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বিস্তৃত যা পুরো জাতির বিবেককে নাড়িয়ে দিয়েছে। এসবে ক্ষমতাসীন দলের সংগঠন- ছাত্রলীগ, যুবলীগ ক্যাডাররা ছাড়াও কোন কোন ক্ষেত্রে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও জড়িত বলে অভিযোগ আছে। ইলিয়াস আলী (বিএনপি নেতা), চৌধুরী আলম (বিএনপি নেতা), আবু বকর সিদ্দিক (ছাত্র, ঢাবি) এবং আবরার ফাহাদ (ছাত্র, বুয়েট) প্রমুখ – এদের হত্যাকান্ড ও গুম কিছু খন্ডিত উদাহরণ মাত্র।

আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বিভিন্ন দেশের সাথে সম্পাদিত চুক্তি বা গুরুত্বহীন কিছু আন্তর্জাতিক সম্মেলনে মন্ত্রিপরিষদের কোন কোন সদস্যের উপস্থিতিতে দেশের ভাবমূর্তি কতটুকু উজ¦ল হয়েছে? সমালোচকদের মতে বরং কোন কোন ক্ষেত্রে এসবে সরকারের নতজানু পররাষ্ট্রনীতিরই প্রতিফলন ঘটেছে। ভারতের সাথে তিস্তার পানি বণ্টনের সমস্যার তেমন কোন অগ্রগতি নেই। এতোদসত্তেও আমরা ‘মানবিক’ কারণে ফেনী নদীর পানি ভারত কর্তৃক ব্যবহার করার জন্য চুক্তি করে বসে আছি। এতে দেশের স্বার্থ কতটুকু রক্ষিত হয়েছে? এ জাতীয় প্রশ্ন দেশবাসীর মনে থেকেই যাবে।

আওয়ামী নেতৃত্ব এবং তাদের কতিপয় সহযোগীদের অতি কথন এবং দম্ভোক্তি শুনলে মনে হয় তাদের ভিতর জিয়া, খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের প্রতি একটা ভীতি সব সময় কাজ করে আসছে। মিথ্যা মামলায় গুরুতর অসুস্থ্য খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন যাবৎ গৃহবন্দী আছেন; মিথ্যা মামলায় অভিযুক্ত তারুণ্যের প্রতীক তারেক রহমান দীর্ঘদিন যাবৎ দেশান্তরী হয়ে আছেন। আইনের শাসনের নামে এসব প্রতিহিংসামূলক এবং শিষ্টাচার বহির্ভুত কর্মকান্ড সুস্থ্য রাজনীতিক ধারা বিকাশে মোটেই সহায়ক নয়। ক্ষমতাসীনদের মনে রাখা উচিত, এ জাতীয় কর্মকান্ড তাদের ক্ষেত্রেও নিকট ভবিষ্যতে অন্য কোন পক্ষ প্রয়োগ করতে পারে। স্বর্তব্য যে `Government (or governance) is on the consent of the minority (or opposition’)।

শাসনকার্যে ক্ষমতাসীনরা এ জাতীয় মনোভাব পোষণ করলে তাদের জন্য মঙ্গলজনক হতো, দেশবাসীর জন্যও মঙ্গলজনক হতো। সত্যিকার অর্থে রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান বিনির্মাণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ পলিটি অনেক দূর এগিয়ে যেত। ক্ষমতাসীনদের কর্মকান্ডে দেশের সকল রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান একরূপ ধ্বংসের পথে। বাংলাদেশ পলিটি এখন এক স্বৈরশাসকের কবলে নিপতিত। এ অবস্থা থেকে যত দ্রুত সম্ভব পরিত্রাণ পাওয়া যায়, ততই দেশের জন্য মঙ্গলজনক।

লেখকঃ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও কলামিষ্ট