/tmp/itjpm.jpg জিয়াকে তুলনা করা যায় মাহাথির মোহাম্মদ বা লিকুয়ানের সঙ্গে - ziaurrahman

জিয়াকে তুলনা করা যায় মাহাথির মোহাম্মদ বা লিকুয়ানের সঙ্গে

নজরুল হসলাম খান

জিয়াউর রহমান তাঁর রাজনৈতিক প্রজ্ঞা এবং বিবেচনাবোধের মধ্য দিয়ে অনেক বেশি মানবিক রাষ্ট্র নির্মাণের ধারাকে বিকশিত করেছিলেন। তিনি স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়ার নেতৃত্ব দিয়েছেন। আমরা শহীদ জিয়াকে যদি বাঁচিয়ে রাখতে পারতাম, তাহলে বাংলাদেশকে লি কুয়ানের সিংগাপুর বা মাহাথির মোহাম্মদের মালয়েশিয়ার সঙ্গে তুলনা করতে পারতাম। ক্ষণজন্মা এই প্রবাদ প্রতীম নেতাকে আমরা অতি অল্প সময় পেয়েছি। তিনি সবসময়ই মেহনতি মানুষের জীবিকা বিকাশের পথ অগ্রসরমান করেছেন। আর তাই বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ সত্যিই তাকে চিনে ছিলেন এবং বাংলাদেশের শত্রুরাও তাকে চিনতে পেরেছিল বলে অকালে এই মহান রাষ্ট্রনায়ককে হত্যা করা হয়েছিল।
আধুনিক বাংলাদেশের এই রূপকার শহীদ জিয়াকে বর্তমান ও পরবর্তী প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে হবে। শহীদ জিয়া তার দলে অনেক মেধাবী, বিচক্ষণ ও দেশপ্রেমিককে যেমন শামিল করেছিলেন আবার শ্রমিক সংগঠনেও সত্যিকারের শ্রমিক ছাড়া কারো জায়গা দেননি। ৭৫ -পরবর্তী বাংলাদেশের যে ভয়াবহ অবস্থা, তা সামাল দেয়ার মতো জিয়াউর রহমানের কোনো বিকল্প ছিল না । রাষ্ট্রনায়ক, রাজনীতিবিদ, দেশপ্রেমিক, সামরিক কমান্ডার এবং সর্বোপরি একজন মানুষ হিসেবে জিয়াউর রহমান ছিলেন অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত স্থাপনকারী। বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ন করা, সার্বভৌমত্ব শক্তিশালী করা, একটি সঠিক জাতীয় পরিচয় দেয়া, দেশে ও বিদেশে লাখ লাখ মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা, অর্থনীতিকে সঠিক ট্র্যাকে ফিরিয়ে আনা। যুক্তরাষ্ট্র, চায়না, সৌদি আরব সহ মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য ও কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা ইত্যাদি। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি জিয়া অনেক বৃদ্ধি করেছিলেন, যার কারণে শক্তিশালী জাপানকে নিরাপত্তা পরিষদের নির্বাচনে হারিয়ে বাংলাদেশ সদস্য হিসেবে জয়লাভ করেছিলো। সার্ক গঠন করে অপরাপর প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন করা, আল-কুদস কমিটির তিন সদস্যের মধ্যে বাংলাদেশের সদস্য হওয়া, ৭৯ সালে ইরাক-ইরান যুদ্ধ বন্ধে শহীদ জিয়াকে প্রধান করে যুদ্ধ বন্ধের উদ্যোগ নেয়া; এসবের মধ্য দিয়ে জিয়াউর রহমানের ভেতরে যে বিশ^মানের নেতৃত্ব ছিলো তা প্রমাণিত এবং প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। তখন মুসলিম বিশ্বে এমনও ধারণা ছিল জিয়াউর রহমান বেঁচে থাকলে এই যুদ্ধ তখনই বন্ধ হয়ে যেতে পারতো। যে মাসে শহীদ জিয়াকে হত্যা করা হয় সে মাসের ৪ তারিখ শ্রমিক দলের সম্মেলনে শহীদ জিয়ার সঙ্গে আমার শেষ দেখা হয়।
যখন শ্রমিক সংগঠন করার জন্য বলা হয় তখন প্রথমেই জিয়াউর রহমান বলেছিলেন শ্রমিকদের সঙ্গে সরাসরি যোগসূত্র রাখতে হবে। শ্রমিক বান্ধব পরিবেশ নির্মাণে জিয়াউর রহমান শ্রমিক সংগঠন গড়ে তোলার নির্দেশনা দেন এবং একারনেই অনেক মেধাবী ও যোগ্য শ্রমিক নেতা জিয়াউর রহমানের সঙ্গে ট্রেড ইউনিয়ন করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে জাতীয়তাবাদী রাজনীতিতে ঝুঁকে পড়েন। শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান তাঁর কর্মকা-ের মধ্য দিয়ে এই দলকে সাধারণ মানুষের দল হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছেন সুতরাং সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষই শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানকে বাঁচিয়ে রাখবে।